Apan Desh | আপন দেশ

উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডির পদত্যাগ যে কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ১৩ জুলাই ২০২৪

উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডির পদত্যাগ যে কারণে

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মিনহাজ আহমেদ পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে সভায় তার বিরুদ্ধে নানা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন পদত্যাগ চান তারা। নিজের সুমান রক্ষার জন্যই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেদিনই তা গ্রহণ করা হয়। পরদিন তিনি আর অফিস করেননি। 

উত্তরা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ঝুঁকিবিষয়ক কর্মকর্তা (সিআরও) ফারজানা সুলতানা রহমানকে।

কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা উত্তরা গ্রুপের আমানতের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সালভিত্তিক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় এমডির নানা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কয়েকজন পরিচালক তাকে অব্যাহতি দেয়ার পরামর্শ দেন। এরপরই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

সৈয়দ মিনহাজ আহমেদ ২০২২ সালের অক্টোবরে উত্তরা ফাইন্যান্সে এমডি হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। উত্তরা ফাইন্যান্সের আগে দীর্ঘ তিন বছর সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

২০২২ সালের জুনে উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডি এস এম শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেয়া হয়।

উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে অর্থ আত্মসাৎ, আত্মসাতে অন্যদের সহায়তাসহ আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য গোপনের অভিযোগে শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে, উত্তরা ফাইন্যান্সের ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজারের মার্জিন ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সের বিভিন্ন পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে। কোনো ধরনের আবেদন, প্রস্তাব বা অনুমোদন ছাড়া পরিচালকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি টাকা ছাড় করা হয়েছে।

এছাড়া, উত্তরা মোটরস ও উত্তরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩৩৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে, যার কোনো অনুমোদন নেই। এসব অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির এমডিকে অপসারণের পাশাপাশি নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়