Apan Desh | আপন দেশ

ফাঁকা থাকবে ১৬ লাখ আসন

ভালো কলেজ মিলবে না জিপিএ-৫ পেয়েও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১৬ মে ২০২৪

আপডেট: ১৩:৪৯, ২৩ মে ২০২৪

ভালো কলেজ মিলবে না জিপিএ-৫ পেয়েও

ফাইল ছবি

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত রোববার। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ভালো কলেজগুলোতে একাদশে ভর্তির সুযোগ পাবে না বহু জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী। 

শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সারা দেশে ‘ভালো’ বা ‘মোটামুটি ভালো’ মানের কলেজ আছে ২৪০-২৫০টি। যেগুলোতে সবমিলিয়ে আসন আছে এক লাখের মতো। তাই ভালো কলেজগুলো যদি কেবল জিপিএ-৫ পাওয়াদেরই ভর্তি করে তারপরও সব প্রার্থী এসব কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। অন্তত ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় গ্রেডের কলেজে।

আবার দেশের সব কলেজ তাদের নির্ধারিত সংখ্যক আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পাবে না। কারণ, আসনের তুলনায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কম। সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কলেজে একাদশে ভর্তির জন্য আসন আছে ৩৩ লাখের বেশি। এসএসসি পাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও প্রায় ১৬ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানায়, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৬ মে। চলবে আগামী ১১ জুন। আর ভর্তির কাজ শেষ একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই। 

অন্যদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত বছর জিপিএ-৫ পেয়ে কাঙ্ক্ষিত কলেজ পায়নি সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থী। পরে তারা অন্যত্র ভর্তি হয়। এবারো একই অবস্থা হবে। কারণ, রাজধানীসহ সারা দেশে আড়াইশর মতো কলেজে ভর্তির আগ্রহ থাকে বেশি। এই আড়াইশ কলেজের মধ্যে রাজধানীর ৩০ থেকে ৩৫টি কলেজে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়বে। এই কলেজগুলোতে সর্বসাকুল্যে আসন আছে ৩০ হাজারের মতো। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় শাখা আছে। ফলে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে। তাই বাইরের প্রতিষ্ঠানের জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী এসব কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে না।

বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য বলছে, সারা দেশে নয় হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান করানোর অনুমতি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে প্রায় ২২ লাখের মতো। 

এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে আছে প্রায় দুই লাখ ৪৩ হাজারের বেশি আসন। আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে প্রায় নয় লাখ আসন রয়েছে। সবমিলিয়ে আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ। এবার পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার। অর্থাৎ সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন শূন্য থাকবে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মূলত আড়াইশ কলেজে ভর্তির আগ্রহ থাকে সবার। এর মধ্যে প্রায় ২০০টি হলো কলেজ ও মাদ্রাসা, ৪৭টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, একটি গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউট ও একটি গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ইনস্টিটিউট রয়েছে। ৫১৫টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকলেও ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। ডিপ্লোমা ইন কমার্সের সাত প্রতিষ্ঠান ও বিএমটি এবং ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানেও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।

এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৯০ জন। তাদের প্রায় সবাই ঢাকার ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা ও বিভাগ থেকে রাজধানীতে ভর্তি হওয়ার জন্য আসবে অনেকে। রাজধানীর ভালো কলেজগুলোতে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ নেই। 

অন্যদিকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি সাত শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দফতর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।

গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঘোষিত তিন ধাপে ভর্তি শেষ করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও তিন ধাপে ভর্তির আবেদন শেষে কোনো কলেজ বরাদ্দ পায় না।

কারণ হিসেবে ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ পায়। তারা বারবার পছন্দের কলেজগুলো পছন্দের তালিকায় রাখে। ওই কলেজগুলোতে তাদের নম্বর অনুযায়ী আসন মেলে না। এতে একেবারে শেষ ধাপ পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী ভালো ফল করেও কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকরা বলছেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজে আসন সংখ্যা বেশি। তবে সব প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন নয়। হাতে গোনা কিছু কলেজ সবার পছন্দের শীর্ষে। সবাই পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। এতে শেষ পর্যন্ত কলেজ পেতেও বেগ পেতে হয় তাদের। জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের আসন সীমিত। যারা আমাদের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে, তাদের আমরা ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেই। এরপর বাইরের শিক্ষার্থী নেই। দেখা যায়, আবেদনকারী সবাই জিপিএ-৫ পাওয়া। তখন নম্বরের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থী নেয়া হয়। এটি কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কমিটি করে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো একাদশের আসন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত ভর্তিযোগ্য আসন থাকলেও ভালো কলেজে ভর্তির জন্য যুদ্ধ হবে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজ ফল ও নম্বরের দিকে নজর রেখে আবেদন করে তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে চাই। শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ না পেয়ে বারবার একই কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখে। এতে তারা নির্ধারিত তিন ধাপে কলেজ বঞ্চিত হয়। তবে অনেক সময় বিশেষ ধাপে আমরা তাদের ভর্তি করিয়ে নেই। কাউকে বঞ্চিত করি না।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, পছন্দের ক্ষেত্রে অনেকে যে ভুলটা করে তা হলো- প্রাপ্ত নম্বরের দিকে না তাকিয়ে যে কোনো কলেজে আবেদন করা। 

আরও পড়ুন <> বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষের নির্দেশ

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ দেয়ার সময় পছন্দের কলেজের আসন সংখ্যা কত, গত বছর সর্বনিম্ন কত নম্বর প্রাপ্তরা ভর্তি হতে পেরেছে- এগুলো জেনে নিয়ে তালিকা দিতে হবে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরা যাক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসন আছে আড়াই হাজার। সেখানে প্রথমে ভিকারুননিসা থেকে পাস করা ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবে। এরপর যে সিট ফাঁকা থাকবে তাতে বাইরে থেকে ভর্তি করানো হবে। সেখানে যদি পাঁচশ আসনের বাইরে থেকে ছাত্রী নেয়া হয়, সেই আসনের বিপরীতে ২০ হাজার আবেদন পড়লে সাড়ে ১৯ হাজারই বাদ পড়বে। এখানে আফসোস করার কিছু নেই।

নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেই। লিখিত ও একই দিনে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধা যাচাই করা হয়। ফলাফলে যারা ভালো করে তাদের আমরা ভর্তি করি। আদালতের অনুমতি নিয়েই আমরা এ প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এবারো একই পদ্ধতিতে ভর্তি করানো হবে।

নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হয়।

২০১৫ সাল থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হচ্ছে না। এবারো এমনটি হবে। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত কলেজগুলো বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করে আসছে। কলেজগুলো হলো- নটর ডেম, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ ও সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে গত বছরের মতো এবারো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি সাড়ে আট হাজার টাকাই থাকছে। সরকারের জারি করা ভর্তি নীতিমালায় ভর্তিতে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত টাকা নেয়া যাবে, তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) পাঁচ হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফসস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকা করে নেয়া যাবে।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা; ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার বাংলা ভার্সনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা করে নেয়া যাবে।

এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করার সময় শিক্ষার্থীপ্রতি বিভিন্ন খাতে (যেমন রেজিস্ট্রেশন ফি, ক্রীড়া ফি) সর্বমোট ৩৩৫ টাকা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

আপন দেশ/এমআর 
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়