Apan Desh | আপন দেশ

মাথার চাপ কমাতে এসেছে ‘সেকেন্ড ব্রেন’

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ৮ জুলাই ২০২৪

মাথার চাপ কমাতে এসেছে ‘সেকেন্ড ব্রেন’

ছবি: সংগৃহীত

মানুষের মাথা তো একটাই। কিন্তু সে এক মাথাতেই কত চাপ! এক মাথাতেই চলে পড়াশুনা থেকে শুরু করে অফিসে কাজ, চলে চিন্তা-ভাবনা। আছে সৃজনশীলতার চাপ। সে সঙ্গে আছে স্মৃতি ধরে রাখার তাগাদা। একটি মাথার জন্য কি বড্ড বেশি চাপ হয়ে যাচ্ছে না? তাইতো প্রায়ই বলতে শোনা যায়, এক মাথায় কত চাপ নেবে!

চিন্তার কিছু নেই। প্রযুক্তিবিদরা নিয়ে এসেছেন সমাধান। মানুষের জন্য আরেকটি মাথার ব্যবস্থা করা দিয়েছেন তারা, যার নাম দিয়েছেন ‘সেকেন্ড ব্রেন’ বা দ্বিতীয় মস্তিস্ক। তবে এ দ্বিতীয় মাথা মানুষের শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকছে না। এটি হবে ভার্চুয়াল। তবে প্রয়োজনে কাজ করবে মাথার আরেকটি মগজের মতোই।

জন্মদিন, ফোন নম্বর, বিবাহ-বার্ষিকী, ডেটিং টাইম, ওষুদের সময় থেকে শুরু করে বাজারের ফর্দ, পাসওয়ার্ড, অফিসের কাজ- তালিকা এতো লম্বা যে, এতো কিছু মাথায় রাখা সত্যিই সম্ভব নয়। মাথার কাজ কী শুধুই মনে রাখা, স্মৃতি ধরে রাখা। তাহলে চিন্তা-ভাবনা ও সৃজনশীলতা কিভাবে সম্ভব?

মানুষের জন্য দরকার আরও একটি মাথা। তাই বাজারে এলো সেকেন্ড ব্রেন। এটি কোনো চিপ নয়। আর অপারেশন করেও একে শরীরে বসাতে হবে না। এটা আসলে এক ধরনের ডিজিট্যাল নথি। এটি এমন এক জিনিস, যা কোনো ডকুমেন্ট বা ছবি স্টোর করে রাখত পারে কমপক্ষে ৫০০ বছরের জন্য।
 
সমীক্ষা বলছে, প্রতিদিন গড়ে একজনের মাথা থেকে ৩০ থেকে ৫০টি তথ্য মুছে যায়। আইনস্টাইনের মতো যাদের আইকিউ, তাদের ক্ষেত্রে এ হার কিছুটা কম। তবে দ্রুত মুছে যায় ফোন নম্বর,পাসওয়ার্ড, পরিচিত মানুষের মুহূর্ত, এপ্লয়ি আইডি, ব্যাঙ্ক আইডিসহ অনেক তথ্য। মুছে যায় অনেক গোপন কথাও। 

এসব ক্ষেত্রেই মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে সেকেন্ড ব্রেন। প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন, এটি ক্লাউড বেইসড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম। অ্যাপের মাধ্যমে চালু করা হবে। অ্যাপ ডাউনলোড হলেই সেকেন্ড ব্রেনের কাজ শুরু করে দেবে, বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে। খরচ শুরু মাসে ৬০০ টাকা থেকে।

কী ধরনের সেকেন্ড ব্রেন চাচ্ছেন সেটা বেছে নিতে হবে আপনাকেই। প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে কিছু অ্যাপস। নোশন, এভারনোট, ওয়ান নোট, ওবসিডিয়ানের মতো অ্য়াপে রয়েছে সেকেন্ড ব্রেন। সব অ্যাপেই ক্লাউডে ডেটা স্টোর হবে। সেকেন্ড ব্রেন কী ডিজিট্যাল ডিভাইসের মত? উত্তর কিন্তু না।

অ্যাপ সংস্থাগুলো এটিকে বলছে হিউম্যান মেমোরি। তাদের দাবি, এ সেকেন্ড ব্রেন ডেটা স্টোর করছে বটে, আসলে তারা স্মৃতিকে ধরে রাখছে। এক্কেবারে মানব মস্তিকের মতই। সেকেন্ড ব্রেনের আইকিউ বেশ ভালো। নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারে। ঠিক ঠিক বাছাই করে নিতে পারে প্রয়োজনীয় সব ডেটা।

উল্লেখ্য, সেকেন্ড ব্রেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিলো ২০০৮ সালে। বিজ্ঞানীরা তখন বলেছিলেন মনে রাখাটা মস্তিকের প্রধান কাজ নয়। প্রধান কাজ- নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনা করা। মনে রাখার জন্য অন্য ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারই ফল সেকেন্ড ব্রেন। অর্থাৎ, চাইলেই আরেকট মাথা বেছে সুযোগ এখন অবারিত। 

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়