Apan Desh | আপন দেশ

সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সংঘর্ষ, ছেলেসহ আসামি ৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ১৬ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ০১:১১, ১৭ আগস্ট ২০২৩

সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সংঘর্ষ, ছেলেসহ আসামি ৫ হাজার

-ফাইল ছবি

ঢাকা: জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও শাহবাগ মোড়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে তার ছেলে মাসুদ সাঈদী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জব্বার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- জামায়াতের সহকারী মহাসচিব হামিদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে মাসুদ, ঢাকা মহানগরের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ও সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট)  রাতে সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতের ১১৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পৃথক মামলা করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেই খবরে জামায়াত-শিবিরের হাজারো নেতা–কর্মী রাতেই বিএসএমএমইউ ও শাহবাগ এলাকায় ভিড় করেন। তারা বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মিছিল করে তারা শাহবাগ থেকে বাংলামোটর ও শাহবাগ মৎস্য ভবনের মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় শাহবাগের বারডেম ও বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আটকা পড়েন।

পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন তারা। সড়ক না ছেড়ে তারা সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার সময় জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীরা ইটের টুকরা, লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়। তারা বিএসএমএমইউর ভেতরে সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ক্ষতিসাধন করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও ছোড়েন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাঁজোয়া যান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

একপর্যায়ে পুলিশ সাঈদীর মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং ভ্যান বের করে আনে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী। রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় পাঠায় কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ। এরপর রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে বিএসএমএমইউয়ের ব্লক ডি কার্ডিয়াক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়