Apan Desh | আপন দেশ

সংস্কার-নির্বাচন পাশাপাশি নিয়ে যেতে হবে : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১০:২৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১০:২৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংস্কার-নির্বাচন পাশাপাশি নিয়ে যেতে হবে : মঈন খান

ছবি সংগৃহীত

সংস্কার ও নির্বাচনকে পাশাপাশি নিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশানের একটি হোটেলে ‌‘গণতন্ত্র উত্তরনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা রাজনৈতিক দলের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  

বৈঠকে অত্যাবশকীয় সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে পাশাপাশি রাখার দাবি জানিয়েছে, রাজনৈতিক শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজ। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র পূর্ণ রূপান্তর করতে সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্কার প্রয়োজন। কারণ সব সংস্কার নয়, এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।  সংস্কার ও নির্বাচনকে পাশাপাশি নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কাঠামো পরিবর্তন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন বলেছেন, দেশের সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। মানুষ জবাব চাইছে বিএনপির কাছে। কারণ মানুষ মনে করছে বিএনপি সরকারে চলে এসেছে। মানুষের পারসেপশনের বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে না।  

এছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে, সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ে নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ও খান ফাউন্ডেশন। 

এসময় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়, জনগণই দিবে অন্য কেউ নয়। এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত এ মুহূর্তে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা; কারণ কেনো পাইপলাইন ছাড়া যে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে দেশ চালানো অসম্ভব। 

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্র -জনতার জয় পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এখন পুরোপুরি গণতন্ত্র ফেরাতে সংস্কার জরুরি। তিনি বলেন, দেশে একটা নির্বাচন ভালোভাবে করতে হলে প্রশাসনকে সাজিয়ে জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সব রিসাইকল করে নতুন করে সাজাতে হবে। 

ফ্যাসিবাদের পতনের পরে আমরা এখন স্বস্তির মধ্যে আছি বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি সুব্রত  চৌধুরী। তবে অনেক পাপিষ্ঠ আমাদের আশেপাশে ঘুরছে। 

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু বলেন, এই আন্দোলন ২০০৮ সালে আমরাই লিড দিয়েছিলাম। এখনকার মতো ভুক্তভোগীদের সহায়তা করতে পারিনি এটা অত্যন্ত কষ্টের।ধারাবাহিক ভাবে এ আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা সমান। 

দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ মুহূর্তে বিএনপিকে সবচেয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সব পদক্ষেপ নিতে হবে। বিএনপির জন্য এবারের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে অত্যন্ত কঠিন। তাই তাদের ধৈর্য ধরে অন্তবতীকালীন সরকারকে তারা সহায়তা করুক। কারণ এই সরকার ব্যর্থ হলে বিপ্লবের সকল অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। তবে এই মুহূর্তেই একটা নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ সামনে এনে  সংবিধান সংশোধন জরুরি।  


আপন দেশ/মাসুম

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়