Apan Desh | আপন দেশ

‘আন্দোলনে ইন্ধন দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৮ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২১:০৬, ৮ জুলাই ২০২৪

‘আন্দোলনে ইন্ধন দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না’

ফাইল ছবি

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে- ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ আন্দোলনে ইন্ধন দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা যারা করছেন, তাদের প্রফেসাল জায়গা থেকে করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেনো?

সোমবার (৮ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এসব আন্দোলনেকে ‘যৌক্তিক’ উল্লখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে যেটা সত্যি সেটা সত্যি বলব, যেটা যৌক্তিক সেটা যৌক্তিক বলব… এটা আমরা সব সময় বলছি। দেশের মানুষ তাদের স্বার্থে যে এখনো ঐক্যবদ্ধ হয় এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কোটাবিরোধী ছাত্রদের এ দাবিকে আমরা সমর্থন করি কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না। ৫০ বছর পরেও ৫৬% কোটা…এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ফলে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের এডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না।

শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তি সঙ্গত দাবি করে তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এর আগে একরকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম। আপনি বলেছেন যে, যারা পেনশন পায় তাদের কোনো দরকার নেই। যারা বাইরে পেনশন পায় তাদেরকে নিয়ে আসতে পারে….ঐচ্ছিক এখন কম্বলসারি করে দিয়েছেন। কারণ, সরকারের আর্থিকখাতে যে দুরবস্থা তাদের টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে মানি হয়ে আসছে… । বিভিন্ন অটোনোমাস বডি আছে এদের মধ্যে অনেকগুলো বডি আছে যাদের কাছে বহু সারপ্লাস মানি ছিল সেগুলো নিয়ে নিয়েছে। কোথাও কিছু বাকি রাখছে না…সব নিয়ে ফেলছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলছি, এ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সবাই দুর্নীতি। এমনকি যারা প্ল্যানিং করছে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে সবক্ষেত্রে দেখবেন দুর্নীতির ব্যাপারটা প্রধান। এতো বেশি দুর্নীতি করেছে যে এখন ডেট ট্র্যাফ পড়ে যাচ্ছে আরকি…ঋণের সেই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা … এভাবে চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের পত্রিকায় দেখলাম যে, রফতানি আয় ৬৪ বিলিয়ন বেশি দেখিয়েছে। ইট ইজ নট ট্রু। ওদের হিসাবেই এসব ভুল বেরোচ্ছে।

গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মহানগর উত্তরের বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু। মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়