Apan Desh | আপন দেশ

আ.লীগ এখন ভারতের সেবাদাস: কর্নেল অলি

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ৭ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২০:০২, ৭ জুলাই ২০২৪

আ.লীগ এখন ভারতের সেবাদাস: কর্নেল অলি

ছবি: আপন দেশ

ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ স্বাধীন দেশটি কেউ আমাদের উপহার দেয়নি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ভারত পেয়েছে দ্বিখন্ডিত পাকিস্তান। আমরা উভয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং হিসাব সমান-সমান।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্নেল অলি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস হিসাবে কাজ করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এটা অপমানজনক। এ অবৈধ সরকারের কোনো এমওইউ স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়।

তারা সব সময় বলেন, দেশের উন্নতি করার জন্য আমার ক্ষমতা চাই। কিন্তু বাস্তবতা এবং তাদের আচরণ দুইটাই ভিন্ন। 

প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ব্যক্ত করে অলি আহমেদ বলেন, শেখ হাসনা বারবার জাতির সামনে বলেছেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা কখনও ভুলতে পারবে না। কয়েকদিন আগে আরও বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে অবাধে যাতায়াত বিদ্যমান রয়েছে। এতে কি তাদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে? 

প্রধানমন্ত্রীর এ কথার সূত্র ধরে কর্নেল অলি বলেন, তাদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েনি। কারণ তারা এক দেশ অন্য দেশের ব্যাপারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। বিশেষ করে, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নির্বাচন, রাজনীতি এবং অর্থনীতির ব্যাপারে তো নই। তাদের নাগরিকদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসারও প্রয়োজন হয় না। অপর দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কি সে ধরণের অবস্থা বিরাজ করছে? মোটেও না। 

ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারতের রেলওয়েতে ৮০ হাজার অস্ত্রধারী সদস্য রয়েছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের রেল লাইন স্থাপিত হলে ভারতের রেলওয়ের এ ৮০ হাজার অস্ত্রধারীদের বাংলাদেশ কিভাবে সামাল দেবে- প্রশ্ন রাখেন সাবেক এ যোগাযোগমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে ভারত। তারা গত ১৫ বছরে একতরফাভাবে তাদের স্বার্থ হাসিল করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থাগুলো সুকৌশলে পঙ্গু করে দিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর তাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার ষড়যন্ত্রে অনেকাংশে সফলও হয়েছেন। 

চারদলীয় জোটের এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমরাও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতাম। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতের প্রতি সম্মান দিয়ে করে পুনঃ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে অলি আহমেদ বলেন, আপনারাও ২০১৪ সালে পুনঃনির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দুঃখের বিষয়, আপনাদের কথা এবং কাজের মধ্যে কখনও কোন মিল নেই। আপনারা সব সময় সুযোগের সন্ধানে থাকেন। আপনাদের শুধু চাই হালুয়া-রুটি আর মসনদ। জনগণের কথা আপনাদের মাথায় নেই। মনে রাখবেন, সামনে চরম দুঃসময় অপেক্ষা করছে। আল্লাহ এবং রাসূলের বাণী সদা সত্য। এখন সময় হয়েছে, সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেন।

কর্নেল অলি অর্থনৈতিক অবস্থা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত সমসাময়িক কিছু সংবাদের রেফারেন্স দেন। তাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচার, দলীয়করণসহ আলোচিত বেশকয়েকটি ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।

আপন দেশ/এইউ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়