Apan Desh | আপন দেশ

কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৭:২৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিট-সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে তাকে কেবিনে আনা হয়।

চেয়ারপারসনের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা।

গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন <> শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে খালেদা জিয়া

বিএনপি নেত্রীর মেডিক্যাল বোর্ডের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে অনেক আগেই খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্র সংকুচিত হয়ে গেছে এবং এর কার্যক্ষমতা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তার লিভারে জটিলতা বেড়েছে ও রক্তক্ষরণের ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। 

তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটি বাংলাদেশ সম্ভব নয়। এই জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়াবাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়