Apan Desh | আপন দেশ

শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অস্থিতিশীল রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার কখনো উন্নতি, আবার কখনো অবনতি হচ্ছে। আবারো স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর)দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রাতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকে তাকে সিসিইউতে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল তার মেডিক্যাল বোর্ড। তখন থেকে প্রায় দুই বছরে পরিপাকতন্ত্রে কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে তার।

বিএনপি নেত্রীর মেডিক্যাল বোর্ডের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে অনেক আগেই খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্র সংকুচিত হয়ে গেছে এবং এর কার্যক্ষমতা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তার লিভারে জটিলতা বেড়েছে ও রক্তক্ষরণের ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। 

আরও পড়ুন <> আদম তমিজি আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত

তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটি বাংলাদেশ সম্ভব নয়। এই জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়াবাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়