Apan Desh | আপন দেশ

শীর্ষ ৬ সন্ত্রাসীর মুক্তি, নানা প্রশ্ন-শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীর্ষ ৬ সন্ত্রাসীর মুক্তি, নানা প্রশ্ন-শঙ্কা

ওপরে বাঁ দিক থেকে শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, সানজিদুল হাসান ইমন, আব্বাস আলী, খোরশেদ আলম রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। ছবি: সংগৃহীত

কারও বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ, কেউ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়, কেউ ৯ হত্যা মামলার আসামি। অন্তর্বতী সরকার গঠনের ক’দিন পরই এমন ছয় আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা বেড়েছে বিশ্লেষকদের মনে। তাদের ওপর কড়া নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। 

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের দিন হামলা হয় অন্তত পাঁচশ’ থানায়। লুট হয় অস্ত্র-গোলাবারুদ। খোয়া যায় এসএসএফের অস্ত্রও। এর বেশির ভাগই উদ্ধার হয়নি এখনও। এরই মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কারামুক্তি এসেছে বড় আলোচনায়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন ১৯৯৭ সালে গ্রেফতার ৯ হত্যাসহ ২২ মামলার আসামি শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম। ১৪ আগস্ট মুক্তি দেয়া হয় হত্যাসহ আট মামলার আসামি সানজিদুল হাসান ইমনকে। ১৩ আগস্ট মুক্তি পাওয়া আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাসের নামে রয়েছে ছয় হত্যায় ১০টি মামলা।

এর আগে, ১২ আগস্ট জামিনে বের হন খোরশেদ আলম রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাসহ মামলা ১৩টি। আর হত্যাসহ আট মামলার আসামি পিচ্চি হেলাল। একই দিন জামিন পান ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ২ নম্বরে থাকা টিটন।

এ অবস্থায় নিরাপত্তার প্রশ্নে শঙ্কিত অপরাধ বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, জামিনে বের হওয়া অনেকের বিরুদ্ধেই ছিল কারাগারে থেকেও তৎপরতা চালানোর অভিযোগ। তাদের মুক্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিচ্ছেন সতর্ক থাকার বার্তা।

জামিনে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তির পর যদি তারা নজরদারিতে না থাকে, তাহলে তারা আবার অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সাধারণ মানুষের স্বস্তিতে জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে। এ কথা বলেছেন, সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক।   

পুলিশ সদরদফতরের দাবি, জামিনে থাকা অপরাধীদের নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিটগুলোকে।

পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, জামিনে থাকা জঙ্গি এবং অন্য অপরাধীরা যেন কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো নজর রাখছে। তারা যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে বিভিন্ন সূত্রের দাবি, দেশ ছাড়ার পরিকল্পনাও করছেন জামিনে মুক্ত কয়েকজন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়