Apan Desh | আপন দেশ

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস

‘সীমান্তে বিএসএফের নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন’

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৩:৪৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘সীমান্তে বিএসএফের নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন’

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মুহম্মদ ইউনূস বলেন, সীমান্তে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটির সমাধানের জন্য আইনগত পথ-পদ্ধতি রয়েছে। কাউকে হত্যা করা কখনও কোনো সমাধান নয়। - সূত্র: ইউএনবি 

ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেন, সীমান্তে হত্যার যে ব্যাপারটি নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে...এসব হত্যাকাণ্ড কিন্তু একতরফা। যারা সীমান্ত অতিক্রম করে, তারা নিতান্তই সাধারণ লোকজন। আপনাদের রাষ্ট্র দখল করার কোনো ইচ্ছে, পরিকল্পনা বা ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তাদেরকে হত্যা করা আসলে একপ্রকার নিষ্ঠুরতা এবং এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে দুই দেশের পানিবণ্টন সমস্যা, বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিয়েও কথা বলেছেন এবং শান্তিতে নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটি নতুন কোনো ইস্যু নয়, বরং অনেক পুরোনো। অতীতে অনেক বার অনেক উপলক্ষে আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। আমরা চুক্তি চুড়ান্ত করতে চাই, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও চায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকার চায় না। এ ইস্যুটি আমাদের সমাধান করতে হবে।

শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করতে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ত্যাগ করার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনের নামে যারা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম পরিচালিত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।

পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ বিচার করার জন্য আমরা তাকে ফেরত আনতে চাই। তিনি ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মাঝে মাঝে কথা বলছেন। এটা সমস্যা তৈরি করছে। যদি তিনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। মানুষও এটা ভুলে যেত, যদি তিনি নিজের জগতেই থাকতেন। কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন, কেউই এটা পছন্দ করছে না।  

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়