Apan Desh | আপন দেশ

কোটাবিরোধীরা সাচ্চা রাজাকার: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১৫ জুলাই ২০২৪

কোটাবিরোধীরা সাচ্চা রাজাকার: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার, তারা প্রমাণ করেছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার! যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এ যুগের রাজাকার। 

রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রী বলেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার -- তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার!  এরা আদালত মানে না, সরকারও মানে না। সুতরাং, এ রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষে এ রাষ্ট্রকে মানা সম্ভব না! সঠিক  স্লোগানই ধরেছে তারা! বের হয়ে আসুক এ যুগের রাজাকারদের আসল চেহারা! 

সোমবার অপর এক পোস্টে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই। 

কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এ যুগের রাজাকার। 

এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এ দেশকেই মানে না! 

আর ফেসবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ যুগের রাজাকাররা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ। 

তিনি বলেন, রাজাকার আগেও ছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনও আছে! ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পড়েছিল নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগণ্যই থাকবে! 

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!

কোটাবিরোধী আন্দোলনে হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে। এদিন বিকাল থেকেই সোশ্যল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকার ইস্যুতে। সরকারের একটি কথার প্রতিবাদ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 

বিষয়টি একটা সময় সোশ্যল মিডিয়া থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের হলে হলে। রাতে হঠাৎ করেই সরকারপ্রধানের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে  স্লোগান দিতে থাকেন। একটা সময় ঢাবির হল থেকে বের হয়ে রাতে শাহবাগে মিছিল নিয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।

শিক্ষার্থীদের এমন স্লোগান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমনই প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে ফেসবুকে উল্লিখিত পোস্ট দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়