Apan Desh | আপন দেশ

গরু চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করেন ইমরান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৭ জুন ২০২৪

আপডেট: ১০:০৪, ২৭ জুন ২০২৪

গরু চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করেন ইমরান

ছবি: সংগৃহীত

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো তুমুল আলোচনায় আছে সাদিক এগ্রোর সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটি। এবার নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে এ ছাগল সম্পর্কে। এটি আসলে বিদেশি জাতের কোনো ছাগল নয়, দেশীয় ছাগলই। 

তথ্য বলছে, ছাগলটি যশোরের একটি বাজার থেকে মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় আনা হয়। তবে ঈদ সামনে রেখে সেটি বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন।

এরপর এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫ লাখ টাকা। যেটি ক্রয় করেন আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরপুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাত। 

সাদেক এগ্রোর ইনচার্জ মো. শরীফও যশোর থেকে ছাগল আনার এ তথ্য স্বীকার করেছেন।

চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন আর নানা চমকের কারণে বারবার আলোচনায় আসে ‘সাদিক এগ্রো’। প্রতিষ্ঠানটি ও এর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইনের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ গ্রাহক ঠকানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

আরও পড়ুন>> ছাগলকাণ্ডের গোমর ফাঁস করলেন নিজাম হাজারী

মিথ্যা বলে অতিরিক্ত মূল্য ধরা এবং দেশি গরু-ছাগল বিদেশি বলে বিক্রি করারও প্রমাণ মিলেছে তার বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। থাইল্যান্ড থেকে উন্নত জাতের গরু মিয়ানমার হয়ে উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন ইমরান।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা গরু উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এরপর সেগুলো দীর্ঘদিন রাখা হয় উখিয়ার গহীন জঙ্গলে তৈরি করা গোপন ডেরায়। সেখান থেকে সুযোগ মতো গরু এনে রাখা হয় নরসিংদীর শেখ ক্যাটল ফার্মে।

২০২১ সালে অবৈধভাবে আনা ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় সাদেক এগ্রো দায়ী থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে গরুগুলো বাজেয়াপ্ত করে সরকার। সেগুলো রাখা হয় সাভারের সরকারি ডেইরি ফার্মে।

জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে কমদামে মাংস বিক্রির জন্য প্রতি বছর সাভারের ফার্ম থেকে কিছু গরু সরবরাহ করা হয়। ধূর্ত ইমরান প্রভাব খাটিয়ে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সেই তালিকাভুক্ত করান। এরপর নিজের ফার্মের দেশীয় জাতের গরুর সঙ্গে বদল করে ১৭টি ব্রাহমা নিয়ে আসেন।

তারা জানান, মন্ত্রণালয়ে প্রভাব খাটিয়ে গরু বদলের ব্যবস্থা করেন ইমরান। এ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করায় সে সময় কয়েকজন কর্মকর্তাকে হুমকিও দেয়া হয়।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়