ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে অনেক বেশি। বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইন, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলে ১১১ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে। উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি। ৬ জন মারা গেছে বলে শুনেছি। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বেশি। বাঁধ ভেঙে গেছে, ঘরবাড়ি ভাঙাসহ নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা রাত জেগে ঝড় মোকাবেলার নানা প্রস্তুতি মনিটরিং করেছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো হলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের বিভাগীয় টিমগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে অনেক বেশি। বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইন, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা দুর্যোগে সহযোগিতার নামে ফটোসেশন করে।

উপকূলবর্তী এলাকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগদ অর্থ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

আপন দেশ/এসএমএ