Apan Desh | আপন দেশ

দুদকের মামলা প্রত্যাহার: হেনস্তার দায় কে নেবে, প্রশ্ন খালিদীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুদকের মামলা প্রত্যাহার: হেনস্তার দায় কে নেবে, প্রশ্ন খালিদীর

ফাইল ছবি

পাঁচ বছর হয়রানি করার পর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে দুদকের আবেদনের শুনানি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির মৌখিক আদেশ দেন। রোববার বিচারক সে লিখিত আদেশে সই করেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুদক ও আদালতের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। একই সঙ্গে ‘হেনস্তার’ জন্য করেছেন আক্ষেপ।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেছেন, পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন একটি অভিযোগে আমাকে এতগুলো বছর অকারণে হেনস্তা করা হল। সামাজিকভাবে হেয় করা হল। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এবং ব্যবসায়িকভাবে গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলা হল। একটি সংবাদমাধ্যমের শ্বাসরোধের মত অবস্থা করা হল। এসবের দায় এখন কে নেবে?

আগেও বলেছি, এ ধরনের মিথ্যা মামলা শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। অকার্যকর করে ফেলে। হয়রানির অস্ত্র হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করার যে সংস্কৃতি আমরা দেখে এসেছি, সেখান থেকে এবার দেশ বেরিয়ে আসুক।

উল্লেখ্য, ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় চলতি বছর ২৫ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় বলা হয়, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চারটি অ্যাকাউন্টে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, ৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। চলতি বছরের ১১ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিট অনুযায়ী, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৯০ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়