Apan Desh | আপন দেশ

চোখের যত্ন: সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:৪৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চোখের যত্ন: সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি

ছবি: সংগৃহীত

চোখ হলো আমাদের দেহের অন্যতম সংবেদনশীল অঙ্গ। যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীকে দেখতে ও অনুভব করতে পারি। প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও কাজের চাপের কারণে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চোখের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সাধারণ চোখের সমস্যা
চোখের সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ড্রাই আই সিন্ড্রোম, চোখে চুলকানি, লালচে ভাব, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া এবং চোখের ক্লান্তি। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, মোবাইল বা টিভির পর্দায় কাজ করার ফলে অনেকেই চোখের উপর চাপ অনুভব করেন। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ছানি পড়া এবং গ্লুকোমার মতো জটিল সমস্যাও দেখা দেয়।

চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয়
চোখকে সুস্থ রাখতে এবং নানা সমস্যা এড়াতে কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। যেমন:

  • সঠিক খাদ্যগ্রহণ: চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ, সি, ই এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। গাজর, শাকসবজি, ডিম, বাদাম, এবং মাছের তেল চোখের জন্য উপকারী।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: চোখের ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুম চোখের পেশিকে শিথিল করে এবং চোখকে আরাম দেয়।
  • চোখের বিশ্রাম: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তু দেখুন। এটি চোখের পেশিকে আরাম দেয় এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা: বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।
  • পানি পান: পর্যাপ্ত পানি পান চোখের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যা ড্রাই আই সিন্ড্রোম প্রতিরোধে সহায়ক।

চোখের চিকিৎসা ও পরীক্ষার গুরুত্ব
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। তাদের প্রতি ছয় মাস অন্তর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। এর মাধ্যমে চোখের যে কোনো সমস্যা আগে থেকেই নির্ণয় করা যায় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।

প্রযুক্তির প্রভাব ও সতর্কতা
বর্তমান সময়ে মোবাইল, কম্পিউটার এবং টিভির স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু এসব ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারে চোখের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই চোখের আরাম নিশ্চিত করতে স্ক্রিনের সামনে বসার সময় ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করা উচিত।

চোখের সুস্থতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা চোখের যত্ন নিতে পারি। চোখের সঠিক যত্ন গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিত চোখের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়া এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

আপন দেশ/অর্পিতা 

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়