Apan Desh | আপন দেশ

হিজবুল্লাহ নেতা শেখ হাসান নাসরুল্লাহ কে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৫:৫১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হিজবুল্লাহ নেতা শেখ হাসান নাসরুল্লাহ কে?

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দাবি করেছে, তারা বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা শেখ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। লেবাননের শিয়া মুসলিম সংগঠন হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কে এই নাসরুল্লাহ? এ নিয়ে বিবিসিতে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। 

নাসরুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী এবং আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলের হামলার শঙ্কায় তিনি বহু বছর জনসমুক্ষে আসেননি। ইরানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যা তাকে হিজবুল্লাহকে রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।

নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে। ইরান থেকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।

১৯৬০ সালে বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় বুর্জ হাম্মুদ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন নাসরুল্লাহ। তিনি ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার পর তিনি নেতৃত্বে আসেন। তিনি হিজবুল্লাহকে একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে রূপান্তর করেন। যা লেবাননের সেনাবাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল্লাহ প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে এবং ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। এ সংঘর্ষে ১ হাজার ১২৫ জন লেবানিজ এবং ১১৯ জন ইসরায়েলি সৈন্যসহ অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে গাজায় হামাসের হামলার পর থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নভেম্বরের এক ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, হামাসের হামলা ছিল সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনি সিদ্ধান্ত ও কার্যকরী পদক্ষেপ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৮ হাজার রকেট এবং অন্যান্য সামরিক হামলাও চালানো হয়েছিল।

নাসরুল্লাহর সর্বশেষ ভাষণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও রেডিও হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করেছে। আরও হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে। নাসরুল্লাহ বলেন, এ হামলা হিজবুল্লাহর ওপর অভূতপূর্ব আঘাত হেনেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। যার ফলে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন।

আপন দেশ/অর্পিতা 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়