Apan Desh | আপন দেশ

আল-আকসা প্রাঙ্গণে উপাসনালয় নির্মাণ করতে চান ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ২৭ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৪:৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৪

আল-আকসা প্রাঙ্গণে উপাসনালয় নির্মাণ করতে চান ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মজসিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের জন্য একটি উপাসনালয় নির্মাণ করতে চান অতি-কট্টরপন্থি ইসরাইলের মন্ত্রী ইতামার বেন গভির। মুসলমানদের পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ। ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতীক আল-আকসা হুমকির মুখে থাকায় ইসরাইলি মন্ত্রীর এমন মন্তব্য ঘিরে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বরাবরই ওই এলাকায় প্রার্থনাকীর ইহুদিদের ওপর ইসরাইল সরকারের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এড়িয়ে থাকেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) আর্মি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সম্ভব হলে আল-আকসা প্রাঙ্গণে একটি সিনাগগ (ইহুদি উপাসনালয়) নির্মাণ করবেন। আল-আকসা ইহুদিদের ‘টেমপল মাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত।

আল-আকসা মসজিদটি বিশ্বের মুসলিমদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। ফিলিস্তিনিদের জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া এটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্রতম স্থান হিসেবে পরিচিত।
 
ওই সাক্ষাৎকারে বেন গভির বলেন, আমি যদি আমার চাওয়া অনুযায়ী কিছু করতে পারতাম তাহলে আল-আকসায় একটি ইসরাইলি পতাকা রাখতাম।

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চায় যদি আপনি টেমপল নির্মাণের সুযোগ পান তাহলে সত্যিই কী তা নির্মাণ করবেন। এ সময় বেন গভির ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।
 
কয়েক দশক ধরে ইসরাইল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি এবং অমুসলিমরা কিছু সময় পরিদর্শনের সুযোগ পায়। কিন্তু তারা সেখানে তাদের ধর্মীয় রীতি নীতি প্রদর্শন করতে পারে না।
 
এদিকে ইসরাইলি মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার ও মিশর। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুফিয়ান কুদাহ এক বিবৃতিতে বলেন, আল-আকসা এবং পবিত্র স্থানগুলো মুসলিমদের জন্য প্রার্থনা করার উপযুক্ত জায়গা। পবিত্র স্থানগুলোতে না হামলা চালাতে জর্ডান প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
 
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক ও আইনগত মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি আরব।
 
আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সিনাগগ তৈরির ইঙ্গিতের নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘পুরো বিশ্বের মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
 
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ‍বিবৃতিতে বলেছে, উত্তেজনা বাড়াতে পারে ইসরাইলকে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়