হামাসপ্রধান মিশরে, ইস্যু যুদ্ধবিরতি

গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছেন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। জিম্মিদের বিনিময়ে গাজায় আরও একটি সাময়িক বিরতিতে ইসরায়েল সম্মত হওয়ার পরই এ সফরে যান তিনি। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এ খবর প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, চলমান এ যুদ্ধের বিষয়ে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন হানিয়াহ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি তারা।

এর আগে নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে সহায়তা করেছিল মিশর ও কাতার। সেই সময় ইসরায়েলের কারাগার থেকে হামাস ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে মুক্ত করা হয়। 

হামাসের হাতে জিম্মি আরও ১২৯ জনের মুক্তি নিশ্চিত করতে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে ইসরায়েলের নেতারা। এ পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার জিম্মি মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হামাসের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজোগ বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য আরও একটি মানবিক বিরতি এবং অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত তার দেশ। তবে এর আগে হামাসকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে তেল আবিব। 

তাদের দাবি, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে তাণ্ডব চালানো এই গোষ্ঠীকে অবশ্যই নির্মূল করা উচিত। তবে সম্প্রতি মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করেছে দেশটি। আরও একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েল কর্তৃক বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করারই এ আলোচনার লক্ষ্য।

হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে, এ সফরে হামাসপ্রধান ‘জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করার একটি চুক্তির’ বিষয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দাপ্রধান এবং অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে একটি ‘উচ্চপর্যায়ের’ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

আপন দেশ/এসএমএ