Apan Desh | আপন দেশ

ড্রাগন ফলের ৭ গুণাগুণ

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২১ আগস্ট ২০২৪

ড্রাগন ফলের ৭ গুণাগুণ

ছবি : সংগৃহীত

ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। নব্বইয়ের দশক থেকে বাণিজ্যিক ভাবে এ ফলের প্রচলন শুরু হয় এ দেশে। অনেকে একে 'কমলম'ও বলেন। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এ ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে এ ফল। বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাহিদা বাড়ছে। তাই উৎপাদনও বাড়ছে।

ড্রাগন ফলের ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। এতে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এক কাপ ড্রাগন ফলে ক্যালোরির মাত্রা ১৩৬, প্রোটিনের মাত্রা ৩ গ্রাম, ফ্যাটের মাত্রা শূন্য, ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ।
 
জেনে নিন ড্রাগন ফলের গুণ সম্পর্কে-

১. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ড্রাগন ফল। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ফলের নিয়মিত সেবন, রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

২. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এ ফল। এতে ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তা ছাড়া এ ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতেও সহায়তা করে। বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন- ক্যানসার, ডায়াবেটিস, অ্যালজাইমার এবং পারকিনসন এর মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
৩. হজমের জন্য ভালো এ ফল। এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যার ফলে হজম ক্ষমতাও ভালো হয়। তা ছাড়া এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৪. হার্টের জন্য উপকারী ড্রাগন ফল। এর ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো হার্টের জন্য খুবই ভালো এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়। তাই এ ফল খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

৫. হাড়ের জন্যও ভালো ড্রাগন ফল। এর প্রায় ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে জয়েন্টের ব্যথা, ফ্র্যাকচার বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।

৬. এটি চোখের জন্যও উপকারী। এতে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। তাই এ ফল চোখের বিভিন্ন সমস্যা- যেমন ছানি পড়ে যাওয়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
 
৭. গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারী এ ফল। এতে ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন রয়েছে। তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল। ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় শক্তি সরবরাহ করে। তা ছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

আপন দেশ/কেএইচ

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়