Apan Desh | আপন দেশ

এন্ড্রু কিশোরের প্রয়াণের চার বছর

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ৬ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২১:০২, ৬ জুলাই ২০২৪

এন্ড্রু কিশোরের প্রয়াণের চার বছর

ফাইল ছবি

বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের চতুর্থ প্রয়াণ দিবস শনিবার (৬ জুলাই)। ২০২০ সালের ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান এ প্লেব্যাক সম্রাট। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ কণ্ঠশিল্পী দীর্ঘ ১০ মাস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। রাজশাহীতেই বেড়ে ওঠা তার। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ। মা মিনু বাড়ৈ রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

মায়ের কাছেই তার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তার মা ছিলেন সংগীত অনুরাগী। মিনু বাড়ৈর প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে সন্তানের নাম রাখেন কিশোর। মায়ের স্বপ্নপূরণ করতেই সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন এন্ড্রু কিশোর।

আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে সংগীতে পাঠ শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, আধুনিক, লোকসংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হন।

এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধাড়াক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রতিজ্ঞা’ চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানটি গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

‘বড় ভালো লোক ছিল’ (১৯৮২) চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর। মহিউদ্দিন পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। এ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।  

১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কথা ও সুরে ‘নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রের তিনটি গানে কণ্ঠ দেন। গানগুলো হলো- আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন এবং আমার বুকের মধ্যে খানে। এমন অসংখ্য চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী, যা এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

বাংলা গানের কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামেও পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র। যেখানে তিনি সাঁতার কেটেছেন কয়েক দশক ধরে।

ব্যক্তিগত জীবনে লিপিকা এন্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এন্ড্রু কিশোর। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তানের নাম সংজ্ঞা আর দ্বিতীয়জনের নাম সপ্তক। 

আপন দেশ/এইউ/এবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়