Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশের গার্মেন্টেসে অস্থিরতায় অর্ডার বেড়েছে ভারতের

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৮:৫৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের গার্মেন্টেসে অস্থিরতায় অর্ডার বেড়েছে ভারতের

ফাইল ছবি

পোশাক শিল্পই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। এরমধ্যে কেবল গত বছরই ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে ঢাকা। বিশ্বে পোশাক রফতানির দিক দিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আছে চীন।

তবে গত জুলাই ও আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চাকা থমকে যায়। শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ হয়েছে। তবে এখনও এ খাতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কারণে উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া গ্যাস সংকটের কারণেও কমেছে উৎপাদন।

বাংলাদেশে এ অস্থিরতার সুযোগে ভারতের পোশাক শিল্প লাভবান হতে পারবে? এমন প্রশ্ন অনেকের। এ বিষয়টি এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্ট।

সাময়িকীটি বলেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তুলা উৎপাদানকারী দেশ হলো ভারত। এসব তুলা বাংলাদেশে রফতানি করে তারা। তবে ভারতে অনেক তুলা উৎপাদন হলেও তৈরি পোশাক খাতের দিক দিয়ে দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।

তবে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের কয়েকটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে তারা নতুন করে ৫৪ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছে। নয়াদিল্লির বাইরের আরেকটি গ্রুপ জানিয়েছে, গত আগস্টে তারা স্প্যানিশ ফ্যাশন ফার্ম জারার কাছ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এখনই টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা ভারতের নেই বলে জানিয়েছেন শিল্প বিশ্লেষক মেহেদি মাহবুব। 

তিনি বলেছেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে সেটি চলে যাবে। ইতোমধ্যে শ্রমিকরা কারখানায় ফিরেছেন এবং উৎপাদন বাড়ছে। এছাড়া পোশাক খাতে যেসব প্রতিযোগী আছে তাদের চেয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন দিকে এগিয়ে আছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো কম মজুরিসম্পন্ন শ্রমিক। এমনকি বাংলাদেশের পোশাককেই ইউরোপের বাজারগুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক থাকলেও আশাবাদী অবস্থানে আছে। আরেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে পোশাক শিল্পে পাল্লা দেয়ার সক্ষমতা ভারতের নেই।

তিনি বলেন, ভারতে ইলেকট্রনিকের মতো মূলধন নির্ভর খাতের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পোশাক শিল্পের মতো শ্রমিক নির্ভর খাতে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের পোশাক রফতানি  থেকে আয় কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশের বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়