সবজিতে স্বস্তি মাছে মাথা চড়া

সবজির দাম স্বস্তিতে। কিছুটা কমেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। যেকোনো মাছ কিনতে ক্রেতাদের বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করতে হচ্ছে। তাতেও সাধ্যের মধ্যে আসছে না পছন্দের মাছ।

বাজারে মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও এলাকাভিত্তিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। 

বাজারে চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, সরপুঁটির কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, গুলশা টেংরা ৫০০-৬০০ টাকা, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, পাবদার কেজি ৪২০-৪৮০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা, বোয়ালের কেজি ৭০০-৮০০, প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৩০-২৫০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ২৮০-৩৫০ টাকায়, কাতলার কেজি ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।

রাজধানীর খিলগাঁও বাজারের ক্রেতা ইসমাইল তরফদার বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মাছ কিনে খাওয়াই কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে মাছের দাম অনেক বেশি। এ দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিৎ।  এখন আমাদের মতো গরিবদের ব্যাগে পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কৈ ছাড়া কিছু আশা করা যাচ্ছে না। আর ভালোমানের মাছের তো কেনার সক্ষমতা নেই।

বাড়তি দামের কারণ হিসেবে চলমান বন্যাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়িরা। আলী আসগর রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মাছ কিনে খিলগাঁওয়ে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ অনেকটা কম। এর মূল কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। 

আপন দেশ/এবি