Apan Desh | আপন দেশ

মুনাফা বেড়েছে যেসবক ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ১ জুলাই ২০২৪

মুনাফা বেড়েছে যেসবক ব্যাংকের

ফাইল ছবি

ডলার সঙ্কট, তারল্য সঙ্কট, খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। এমন মন্দ সংবাদের মধ্যে সুখবর হলো মুনাফা বাড়ছে ব্যাংকের। চলতি বছরেরর জানুয়ারি-জুন নাগাদ এ চিত্র অধিকাংশ ব্যাংকের। ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, সরকারি বিভিন্ন বিল, বন্ডে বিনিয়োগসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করেই মুনাফা বেড়েছে।

তবে পরিচালন মুনাফাই একটি ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে যা থাকে, তা-ই হচ্ছে পরিচালন মুনাফা। আর পরিচালন মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ, সঞ্চিতি, করপোরেট কর বাদ দিলে যা থাকে, তা-ই হচ্ছে নিট মুনাফা। নিট মুনাফা থেকেই শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয় তালিকাভুক্ত ব্যাংক।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। মুনাফা বেড়েছে ৫৮০ কোটি টাকা।

অপরদিকে একই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ১৩০ কোটি টকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন নাগাদ ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিলো ৩২০ কোটি। এবার হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। 

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ওই সময়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৭৯ কোটি। গত বছরের একই সময়ে ৪০৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল ব্যাংকটি। এক বছরে ব্যাংটির পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ১৭২ কোটি টাকা।

চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক মধুমতির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৮০ কোটি, গত বছর ছিল ৮১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়ছে ৯৯ কোটি টাকা। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংক ২৫০ কোটি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২১১ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।

বিপুল পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিল সত্ত্বেও চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। অতীত ইতিহাসের সর্বোচ্চ এ অঙ্ক। এসব ঋণের বিপরিতে প্রভিশন রেখে সরকারের কর পরিশোধের পর নিট মুনাফার হিসাব হবে। পুনঃতফসিলকৃত ঋণকে দুর্দশাগ্রস্ত’ হিসেবে দেখায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার বেশি। আবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় ব্যাংকগুলো ৬৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করেছে। সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংক খাতের অন্তত এক-চতুর্থাংশ ঋণই ছিল দুর্দশাগ্রস্ত। খেলাপির খাতায় ওঠা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো গ্রাহক উচ্চ আদালতে মামলা করছেন। এসব মামলায়ও বিপুল পরিমাণ ঋণ আটকা পড়েছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়