Apan Desh | আপন দেশ

দুই মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় ইয়াবা গডফাদার হন বদি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২২ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৬:১৬, ২২ আগস্ট ২০২৪

দুই মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় ইয়াবা গডফাদার হন বদি

ফাইল ছবি

মাদকের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের আন্তর্জাতিক চক্রের অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি। যিনি ইয়াবা ও আইসের বাংলাদেশের রুট নিয়ন্ত্রণ করেন। সে কারণে বদিকে বলা হয় মাদকের গডফাদার। 

মিয়ানমার, লাউস ও থাইল্যান্ত সীমান্তে অবস্থিত এলাকাকে মাদকের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল বলা হয়। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় ইয়াবা, আইসসহ অন্যান্য মাদক উৎপাদনের সবচেয়ে বড় হাব এ অঞ্চল। সেখানে সারা পৃথিবীর মাদকের বড় বড় মাফিয়ারা বিনিয়োগ ও বাণিজ্য করেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজারে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু রিমান্ড শুনানি না করে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। 

এ বিষয়ে আইনজীবী শহিদুল্লাহ কায়সার জানান, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষের দাবি, বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকিয়ে বদি কয়েকটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজের সাম্রজ্য মজবুত করতে পুলিশকে ব্যবহার করে দিনের পর দিন টেকনাফে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করেছে। তাই তার দশবার ফাঁসি হলেও কম হবে না।

কিন্তু প্রশ্ন হলো আব্দুর রহমান বদি কিভাবে গডফাদার হলে উঠলেন? কারা তাকে পেছন থেকে শক্তি যুগিয়েছে?

বদির বাবা এজাহার মিয়া বাংলাদেশের অন্যতম চোরাকারবারি ছিলেন। বাবার দেখানো পথে হাটতে গিয়ে প্রবেশ করেন চোরাচালানের অন্ধকার জগতে। যেটি মজবুত হয় ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে। ২০০২ সালে প্রথমবার টেকনাফ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। সংসদে যাওয়ার পর থেকেই মাদকের জগতে কিং হয়ে উঠতে শুরু করেন তিনি। একহাতে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন মাদকসহ মিয়ানমারের সকল চোরাচালান।

২০১৪ সালে আবারও নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পান বদি। কিন্তু ২০১৮ সালে সমালোচনার মুখে বদির পরিবর্তে আওয়ামী লীগ তার স্ত্রীকে সংসদে নিয়ে যায়। সর্বশেষ নির্বাচনেও স্ত্রী শাহিনা আক্তার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মূলত ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে উখিয়া-টেকনাফের একক নায়ক হয়ে উঠেন বদি। মাদকের পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দরেরও একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিলো তার হাতে। 

টেকনাফের প্রাক্তন আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ব্যবহার করে টেকনাফে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেছেন বদি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার পাশাপাশি বদির বিরুদ্ধে দুদক ও সিআইডির পক্ষ তদন্ত পরবর্তী মামলা হলেও ক্ষমতার প্রভাবে সব সময় থেকেছেন অধরা।

মূলত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছত্রছায়ায় মাদকের অপ্রতিরোধ্য গডফাদার হয়ে উঠেন বদি।

আপন দেশ/এমবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়