![যান চলাচলের আগেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফাটল যান চলাচলের আগেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফাটল](https://www.apandesh.com/media/imgAll/2021September/Untitled-2407041428.jpg)
ছবি: আপন দেশ
চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের আগেই একাধিক পিলারে ফাটল ধরা পড়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্ত উপ-কমিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে অনিয়মের সত্যতা দেখতে পান। পাশাপাশি, রাম্প নির্মাণে অসঙ্গতি ও অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেগাপ্রকল্পের নির্মাণ কাজে।
পরিদর্শন শেষে কমিটির সদস্যরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে সরেজমিন পরিদর্শন শুরু হয়। তদন্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি সদস্য এম এ লতিফের নেতৃত্বে এ পরিদর্শন শুরু হয়। তার সঙ্গে ছিলেন তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য বগুড়া-৫ আসনের এমপি মো. মজিবুর রহমান।
সংসদীয় কমিটির দুই সদস্য ল্যাডারে চড়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের ফাটল পরীক্ষা করেন। ফাটল দেখার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন এম এ লতিফ।
বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মধ্যেই পিলারে ফাটল এবং কাজের মান নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুললো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এম এ লতিফ বলেন, প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রীতে ত্রুটি রয়েছে। যেখানে সেখানে র্যাম্প নির্মাণ ও অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধিসহ রয়েছে নানা অনিয়ম। বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের শুরুতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে হয় চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলাকালে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চারটি পিলারে ফাটল ধরে। চারটি পিলারই লালখান বাজার অংশে।
ফাটলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছে প্রকল্পের বাস্তবানকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান।
নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের র্যাঙ্কিন।
তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ পর্যন্ত।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।