Apan Desh | আপন দেশ

প্লাবনের তোড়ে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ২৬ মে ২০২৪

প্লাবনের তোড়ে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে

ছবি: সংগৃহীত

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। তীব্র জোয়ারে ধাক্কায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হুঁ হুঁ করে লোকালয় ঢুকে পড়ছে সাগরের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ মোংলা ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র। তবে এরই মধ্যে ঝড়ের অগ্রভাগ পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতার থেকে মহাবিপদ সংকেত দিয়ে বলা হয়েছে, রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় কয়েকটি জেলার দ্বীপ ও চরে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

দুপুর থেকেই দমকা ঝড়ো হাওয়ার শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাদাবনে ভূমি ভেসে যাচ্ছে কমপক্ষে পাঁচ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে। ডুবে গেছে হিরণ পয়েন্টের বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতি ফলক।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে লোকালয়৷ রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চারটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে রাঙ্গাবালীর নিচু এলাকাগুলো।

প্রবল জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকার বেড়িবাঁধ পানির ভেঙ্গে গেছে। পানি ঢুকছে পাঁচ গ্রামে। জোয়ারের তোড়ে ধসে পড়েছে চর বালিয়াতলী বেড়িবাঁধের রিভার সাইডের প্রায় ১০ ফুট অংশ। 

দুপুর থেকেই রিমালের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে সাতক্ষীরায়। নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে বাড়ছে পানি। ঝড়ো দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে উপকূলবাসী।

এদিকে কক্সবাজার সাগর ফুঁসে উঠেছে। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে উপকূলে। ইতোমধ্যেই সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুঁটকি মহাল। সাগরে সঙ্গে আবহাওয়ার চরিত্র ও পরিবর্তন হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ‘রেমাল আঘাত হানবে সন্ধ্যায়, প্রস্তুতি সম্পন্ন’

বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা রেমাল আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। 

এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল।

প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ মোংলা ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এরই মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়