Apan Desh | আপন দেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল

জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহর  

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ২৬ মে ২০২৪

জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহর  

ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্রের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুঁটকি মহাল। সমিতিপাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতিপাড়া, মোস্তাক পাড়া ও বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কক্সবাজারে। 

রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে সমিতিপাড়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ওই এলাকায় মাইকিং চালিয়ে সতর্ক করছেন। লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এরই মধ্যে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। রেমালের কারণে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৬ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় সমুদ্রের বালিয়াড়িতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। 

সমিতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার পর হঠাৎ জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। পরিবার নিয়ে শহরতলীর উদ্দেশে রওনা হয়েছি আমরা।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত

কুতুবদিয়া পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আলী আজগর বলেন, জোয়ারের পানিতে প্রায় সময় এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের।

পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল বলেন, সমিতিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেড ক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪৮৬ মেট্রিক টন জিআর চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সঙ্গে গৃহ নির্মাণ মজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়