Apan Desh | আপন দেশ

এবার আসছে ভয়ঙ্কর শামুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৩ জুলাই ২০২৪

এবার আসছে ভয়ঙ্কর শামুক

আফ্রিকান জায়ান্ট প্রজাতির শামুক

নানামুখি হুমকি আসছে দেশের কৃষিতে। জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে একে তো হারাচ্ছে জীববৈচিত্র। অন্যদিকে প্রাদুর্ভাব ঘটেছে নানা বিপজ্জনক প্রাণী-পোকার। কিছুদিন পর পর নতুন নতুন ভয়ঙ্কর, ক্ষতিকারক প্রাণীর দেখা মিলছে। যা শুধু মানুষের প্রাণহানীই ঘটাচ্ছে না; কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইতোমধ্যে আতঙ্কগ্রস্থ করেছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। আনাচে-কানাচে, কৃষিক্ষেতে দেখা দিচ্ছে বিষধর সাপটি। কিছুদিনেই ২০জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।

এবার আসছে শামুক। নিরীহ এ প্রাণিটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। বিচিত্র নতুন প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু ছড়িয়েই পড়েনি, হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে কৃষি ব্যবস্থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত: শামুক হচ্ছে প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। আমাদের দেশীয় যে শামুক আছে সেটি উপকারী। তারা স্থলভূমিতে উঠে আসে না, বরং পানিতেই থাকে। কিন্তু যে শামুকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে তা ক্ষতিকারক। এ শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীব বৈচিত্র্যে ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এরা ফসলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ ক্ষতিকর আফ্রিকান শামুক নির্মূল না করা হলে প্রকৃতির জন্য ভয়াবহ হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। 

সূত্রমতে, বিশ্বের অনেক দেশে এ শামুক শতভাগ নির্মূলের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার ফ্লোরিডা, ভারতের কেরেলা এবং কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলা। ভারতে গত তিন দশক ধরে এ শামুকের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করে আসছে। সম্প্রতি তারা সফলতার মুখ দেখতে পেরেছে। বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও এ শামুক নির্মূলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। 

হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহজাহান কবির জানান, ওই প্রজাতির শামুকটি অনেক ক্ষতিকর। তাই যার সামনেই পড়বে, তাকে মেরে ফেলাই ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিশোরগঞ্জে স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা হলেই এগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে বের হয়ে আসে। আর দিনের বেলায় অত্যাধিক সূর্যালোক থেকে বাচঁতে লুকিয়ে থাকে। অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে আশ্রয় নেয়। দালানের জন্যও এ শামুক ক্ষতিকর। এর, মাংস খুবই শক্ত বিধায় পশু-পাখিরাও খেতে চায় না।

জিনারী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের হিরন রবি দাস জানান, এ শামুক রাতে হাঁটা চলা করতে দেখা যায়, খুবই ভয়ংকর প্রজাতির শামুক এটি।  বাড়ির গাছে, ঘরের দেয়ালে ও ঘরের বেড়ায় দলবেঁধে বসে থাকে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফলমূল খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষতিকর শামুকের এ প্রজাতিটি নির্মূলের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যেভাবেই হোক এর প্রজনন ও বৃদ্ধি প্রক্রিয়া নষ্ট করতে হবে। তা না হলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এতে গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়